আত্মস্মৃতি
Abujafar Shamsuddin
(1911-1989)
আত্মস্মিতি
উদ্ধৃত্ত
ভূমিকা
আবু
জাফর
শামসুদ্দীনের
কোন
পুস্তকের
ভূমিকা
লেখা
আমার
পক্ষে
ধৃষ্টতা
মনে
হয়।
বাংলাদেশে
সাংবাদিক-সাহিত্যিক
রুপে
তাঁর
মতো
পরিচিত
নামের
পূর্ণপরিচয়
নেহাৎ
বাড়তি
ব্যাপার।
হ্যারিকেনের
সাহায্যে
কাউকে
সূর্য
দেখানোর
মতো
তা
হাস্যকর।
তবু
অনুরোধ
পাশে
ঠেলে
সরিয়ে
রাখতে
পারি
নি।
১৯৭৬।
বারো
বছর
আগেকার
কথা।স্বৈরাচারী
শাসনের
দাপটে
ত্রস্ত
সারা
বাংলাদেশ।প্রতিবাদের
টু-শব্দ
উচ্চারণের
এতটুকু
সাহস
কারো
নাই।
রাজনীতিবিদগণ
খোলে
গুটিয়ে
গেছেন।
শ্বাসরোধী
আবহাওয়া।
জানালা-কপাট
বন্ধ।
সেই
ক্রান্তিকালে
আবু
জাফর
শামসুদ্দীন
এগিয়ে
এলেন
তাঁর
নির্ভীক
উচ্চারণ
নিয়ে।
তখন
তাঁর
বয়স
ছেষট্টি
বছর।
এই
পৌঢ়জনের
বুকের
পাটা
এত
বিস্তৃত
হতে
পারে,
ভাবা
দায়।
কিন্তু
ইতিহাসে
নকিবের
দায়িত্ব
যাঁরা
পালন
করেন,
বয়সের
অত
তোয়াক্কা
তাঁদের
প্রয়োজন
হয়
না।
মৃদুভাষী
পৌঢ়
মানুষটি,কিন্তু
উচ্চারণে
দৃঢ়তা
ছিল।
তাই
বৃথা
গেল
না।
ঝিরিঝিরি
স্রোত
ক্রমশ
আশপাশের
মাটি
সরিয়ে
নদীর
পথ
রচনা
করতে
লাগল।
তেমনই
ব্যাপার
ঘটল
সেদিন
বাংলাদেশে।
সময়
স্মরণীয়ঃ
১৯৭৬
খ্রীষ্টাব্দ।
পরবর্তী
বারো
বছরের
ইতিহাস
অনুধাবনের
পরিসর
বা
সুযোগ
নেই
এখানে।
আবু
জাফর
এই
সুদীর্ঘ
কাল
‘সংবাদ’-পত্রিকার
কলামিস্ট
রুপ
সামাজিক
দায়িত্ব
পালন
করে
গেছে
বড়
নিষ্ঠার
সঙ্গে।
লেখকের
ছদ্মনাম
‘অল্পদর্শী’,
কলামের
নাম
‘বৈহাসিকের
পার্শ্বচিন্তা’।
কিন্তু
আবু
জাফর
শামসুদ্দীন
কেবল
সাংবাদিক
ছিলেন
না।
তিনি
সাহিত্যিক।
লিখেছেন
গল্প,
উপন্যাস,
নাটকও
বাদ
দেন
নি।
প্রবন্ধকার-রুপে
তাঁর
খ্যাতিও
প্রচুর।
বক্ষ্যমান
গ্রন্থটি
আবু
জাফর
শামসুদ্দীনের
আত্মজীবনী।
২৪
আগস্ট
১৯৮৮
তিনি
ইহলোক
ত্যাগ
করেন।
আমাদের
দুর্ভাগ্য;
বর্তমান
সঙ্কটকালে
তাঁর
কন্ঠস্বরের
বড়
প্রয়োজন
ছিল।
আবু
জাফর
শামসুদ্দীনের
এই
আত্মজীবনী
কোনো
একক
ব্যক্তির
কাহিনী
নয়।
সমাজ
ও
মানুষ
উন্নয়ন
সম্পর্কে
সদা-কৌতূহলী
আবু
জাফর
শামসুদ্দীন
এই
পুস্তকেও
তাঁর
অনন্য
স্বাক্ষর
রেখে
গেছেন।
আমার
মনে
হয়,
নতুন
প্রজন্মের
তরুণ-তুরুণীদের
কাছে
এই
পুস্তক
পথের
হদিস
দানে
সক্ষম
হবে।
কারণ,
আবু
জাফর
শামসুদ্দীনের
মতো
মানুষই
কালের
ইমাম (পথপ্রদর্শক)হতে
পারেন।
আবু
জাফর
শামসুদ্দীনের
সেজ
ছেলে
আহমেদ
পারভেয
শামসুদ্দীন
প্রয়াত
পিতার
রচনা
জন-সমক্ষে
প্রকাশের
সিদ্ধান্ত
নিয়ে
গভীর
সামাজিক
দায়িত্ব-সচেতনতার
পরিচয়
দিয়েছে।
সুবাদের
জন্যে
আমি
তাকে
ধন্যবাদ
দিতে
অপারগ।
আমি
আশা
করি,
এই
পুস্তক
জন-সমাদৃত
হবে।