আমার ছেলেবেলা (My Boyhood Days)
Rabindranath Tagore
(রবীন্দ্রনাথ
ঠাকুর) (1861-1941)
Bengali poet, philosopher, artist, playwright, composer and novelist. India's first Nobel laureate.
My Boyhood Days (Ammar Chhelebela, 1940) is Tagore′s second memoir of his childhood days, written when he was nearing eighty. He describes, without a trace of self-pity, the spartan life he had to lead under his father′s instruction. The sense of wonder and delight in the seemingly commonplace experiences of boyhood helped him become a great poet.
আমার ছেলেবেলা
ভূমিকা
গোঁসাইজির
কাছ
থেকে
অনুরোধ
এল,
ছেলেদের
জন্যে
কিছু
লিখি।
ভাবলুম,
ছেলেমানুষ
রবীন্দ্রনাথের
কথা
লেখা
যাক।
চেষ্টা
করলুম
সেই
আতীতের
প্রেতলোকে
প্রবেশ
করতে।
এখানকার
সঙ্গে
তার
অন্তর-বাহিরের
মাপ
মেলে
না।
তখনকার
প্রদীপে
যত
ছিল
আলো
তার
চেয়ে
ধোঁয়া
ছিল
বেশি।
বুদ্ধির
এলাকায়
তখন
বৈজ্ঞানিক
সার্ভে
আরম্ভ
হয়
নি,
সম্ভব-অসম্ভবের
সীমা-সরহদ্দের
চিহ্ন
ছিল
পরস্পর
জড়ানো।
সেই
সময়টুকুর
বিবরণ
যে
ভাষায়
গেঁথেছি
সে
স্বভাবতই
হয়েছে
সহজ,
যথাসম্ভব
ছেলেদেরই
ভাবনার
উপযুক্ত।
বয়সের
সঙ্গে
সঙ্গে
ছেলেমানুষি
কল্পনাজাল
মন
থেকে
কুয়াশার
মতো
যখন
কেটে
যেতে
লাগল
তখনকার
কালের
বর্ণনার
ভাষা
বদল
করি
নি,
কিন্তু
ভাবটা
আপনিই
শৈশবকে
ছাড়িয়ে
গেছে।
এই
বিবরণটিকে
ছেলেবেলাকার
সীমা
অতিক্রম
করতে
দেওয়া
হয়
নি-কিন্তু
শেষকালে
এই
স্মৃতি
কিশোরবয়সের
মুখোমুখি
এসে
পৌছিয়েছে।
সেইখানে
একবার
স্থির
হয়ে
দাঁড়ালে
বোঝা
যাবে,
কেমন
ক’রে
বালকের
মনঃপ্রকৃতি
বিচিত্র
পারিপার্শ্বিকের
আকস্মিক
এবং
অপরিহার্য
সমবায়ে
ক্রমশ
পরিণত
হয়ে
উঠেছে।
সমস্ত
বিবরণটাকেই
‘ছেলেবেলা’
আখ্যা
দেওয়ার
বিশেষ
সার্থকতা
এই
যে,
ছেলেমানুষের
বৃদ্ধি
তার
প্রাণশক্তির
বৃদ্ধি।
জীবনের
আদিপর্বে
প্রধানত
সেইটেরই
গতি
অনুসরণযোগ্য।
যে
পোষণপদার্থ
তার
প্রাণের
সঙ্গে
আপনি
মেলে
বালক
তাই
চারি
দিক
থেকে
সহজে
আত্মসাৎ
করে
চলে
এসেছে।
প্রচলিত
শিক্ষাপ্রণালীদ্বারা
তাকে
মানুষ
করবার
চেষ্টাকে
সে
মেনে
নিয়েছে
অতি
সামান্য
পরিমাণেই।
এই
বইটির
বিষয়বস্তুর
কিছু
কিছু
অংশ
পাওয়া
যাবে
জীবনস্মৃতিতে,
কিন্তু
তার
স্বাদ
আলাদা-সরোবরের
সঙ্গে
ঝরনার
তফাতের
মতো।
সে
হল
কাহিনী,
এ
হল
কাকলি;সেটা
দেখা
দিচ্ছে
ঝুড়িতে,
এটা
দেখা
দিচ্ছে
গাছে-ফলের
সঙ্গে
চার
দিকের
ডালপালাকে
মিলিয়ে
দিয়ে
প্রকাশ
পেয়েছে।
কিছু
কাল
হল,
একটা
কবিতার
বইয়ে
এর
কিছু
কিছু
চেহারা
দেখা
দিয়েছিল,সেটা
পদ্যের
ফিল়মে।
‘বইটার
নাম
ছড়ার
ছবি’।
তাতে
বকুনি
ছিল
কিছু
নাবালকের,
কিছু
সাবালকের।
তাতে
খুশির
প্রকাশ
ছিল
অনেকটাই
ছেলেমানুষি
খেয়ালের।
এ
বইটাতে
বালভাষিত
গদ্যে।